আমরা প্রায় প্রতিদিন অন্যান্য খাবারের পাশাপাশি আলু খেয়ে থাকি। এই আলুর পুষ্টিগুণ অনেক। আলুতে ভিটামিন ‘এ’, ‘বি’ ও ‘সি’ আছে। এছাড়াও আলুর খোসাতে আছে ভিটামিন ‘এ’, পটাশিয়াম, আয়রন, অ্যান্টি-অক্সাইড, ফাইবারসহ প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট। চলুন এবার দেখে নেওয়া যাক আলু খাওয়ার উপকারিতা।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ
ব্লাড প্রেসারকে (রক্তচাপ) ঠিক রাখতে ভীষণভাবে সাহায্য করে আলু। কারণ আলুতে আছে কুকোয়া-মাইনাস নামের এক ধরণের কেমিক্যাল। তবে মনে রাখতে হবে অতিরিক্ত আলু খেলে রক্তে চিনির পরিমাণ বেড়ে যায় এবং ওজন বেড়ে যেতে পারে।
হজমে সহায়ক
হজমের পক্ষে আলু খুব ভাল। কারণ আলুতে হাই ফাইভার থাকে।
ত্বকের পক্ষে উপকারী: আলু, বেটে কিংবা আলুর রস ত্বকে লাগালে বিভিন্ন দাগ, র্যাশ ও অন্যান্য ত্বকের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আলুতে ভিটামিন সি, বি কমপ্লেক্স, পটাশিয়াম ম্যাগনেসিয়াম, জিঙ্ক, ফসফরাস ইত্যাদি রয়েছে যা ত্বকের জন্য জরুরি। এছাড়া রোদে পোড়া ভাবও দূর করতে সহায়তা করে আলুর রস।
আরো দেখুন: পুটি মাছের উপকারিতা
রোগ প্রতিরোধ
আলুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ আছে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক। একটি মধ্যম আকৃতির(১৫০ গ্রাম) আলুর ত্বকে প্রায় ২৭ মিলিগ্রাম ভিটামিন ‘সি’ আছে। এছাড়া আলুতে পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন বি, ও আয়রন আছে।
মানসিক চাপ কমায়
আলুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি-৬ রয়েছে, যা মন ভালো রাখার জন্য কার্যকরী দুটি উপাদান সেরেটোনিন ও ডোপামিন নামক নিওট্রান্সমিটার গঠনে সহায়তা করে। নিওট্রান্সমিটার মস্তিষ্কে অনুভূতি আদান প্রদান করে থাকে এবং মানসিক চাপ কমিয়ে মন ভালো করতে সহায়তা করে।
মস্তিষ্ক সচল ও কর্মক্ষম রাখে
আলুতে গ্লুকোজ, অক্সিজেন, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, এমিনো এসিড, ওমেগা-৩ ও অন্যান্য ফ্যাটি এসিড আছে,. যা মস্তিষ্ক সচল ও কর্মক্ষম রাখার জন্য প্রয়োজনীয় উপাদানগুলো সরবরাহ করতে সহায়তা করে।