প্রতিটি জিনিস ব্যবহারের আগে তা ব্যবহারের উপকারিতা জেনে নিয়ে তবেই ব্যবহার করুন।
এতে একটা জিনিস সব সময় আপনার জন্য স্পষ্ট হয়ে যায় যে, আপনার ব্যবহারের দরকার আছে কি? নাকি নেই!
- ভিতামিন ই ক্যাপসুলে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট মাথার স্ক্যাল্পের জন্য দারুন হেলদি একটা উপাদান।
- যা চুলের গ্রোথ বা বৃদ্ধিতে উপকারে আসে, দ্রুত কাজ করে।
- অতিরিক্ত চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে।
- চুলের যাবতীয় কেয়ার নিতে সক্ষম ভিটামিন ই ক্যাপসুল।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল কিভাবে ব্যবহার করবেন
আজকাল কম বেশি সব রকমের হেয়ার ও বিউটি প্রোডাক্টে ভিটামিন ই ক্যাপসুল থাকে।
কিন্তু আপনারা যদি সরাসরি এটি ব্যবহার করতে চান তাহলে তা ব্যবহারের প্রক্রিয়া জেনে নিন।
এটি বেশি কার্যকরী হয় ভালো রেজাল্ট পেতে।
- মেডিক্যাল স্টোর থেকেই পেয়ে যাবেন এই ক্যাপসুল।
- আপনার যদি লম্বা চুল হয় তাহলে ৭ থেকে ৮টি ক্যাপসুল লাগবে। ছোট চুল হলে ৪ থেকে ৫ টি ক্যাপসুল।
- এবার একটি কাঁচের বাটিতে ক্যাপসুল থেকে তেল বের করে নিন সবার প্রথমে।
- নারকেল তেল ২ চা চামচ মত মেশান। ভালো করে মিশিয়ে নিন।
- এবার এতে ক্যাস্টর অয়েল বা রেড়ির তেল মেশান ২ চা চামচ।
- তিনটি উপকরন ভালো ভাবে মিশিয়ে নিয়ে ৫ মিনিট মত রেখে দিন।
- একটি বড় বাটিতে জল গরম করে সেই গরম জলের মধ্যে উপকরন মেশান বাটিতে রেখে নাড়তে থাকুন ৩ থেকে ৪ মিনিট মত।
- রেডি আপনার তেল। একটি বোতলে ভরে রাখুন।
- রাতে শোবার আগে এই তেলটি ভালো করে মাথায় ম্যাসাজ করে অ্যাপ্লাই করুন।
- সকালে উঠে শ্যাম্পু করে নিন। সপ্তাহে ৩ বার এটি ব্যবহার করুন অবশ্যই।
নিয়মিত এক থেকে দুমাস যদি এটি সঠিক ভাবে ব্যবহার করেন আপনার চুলের যাবতীয় সমস্যা কমে যাবে।
চুল পড়া বন্ধ হওয়া থেকে নতুন চুল গজানো সব সম্ভব ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করে।
আরো দেখুন: কাঁচা ছোলা খাওয়ার উপকারিতা
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে সতর্ক থাকুন
- কখনোই নখ দিয়ে খুঁটে তেল বার করবেন না ক্যাপসুল থেকে। এতে নখের ময়লা থেকে সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকে।
- স্কিন স্পর্শকাতর হলে ডাক্তারি পরামর্শ করে তবেই লাগান।
- যারা সোরিয়াসিস বা কন্ট্যাক্ট ডার্মাটাইটিস এ ভুগছেন তারা এর ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন
- ওভারডোজ হলে ত্বকে বিরূপ প্রতিক্রিয়া, রেশ ও লাল লাল ছোপ পড়তে পারে।
- তৈলাক্ত ত্বক হলে বেশি ব্যবহার করবেন না
- রক্তক্ষরণজনিত সমস্যা বা অন্যান্য ওষুধ গ্রহণকালে এলার্জি বা চুলকুনি নিয়ে আসতে পারে