টসটসে রসালো জাম দেখতে যেমন সুন্দর, খেতেও তেমন সুস্বাদু। মিষ্টি এই ফলটিতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি, জিংক, কপার, গ্লুকোজ, ডেক্সট্রোজ, ফ্রুকটোজ, ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও স্যালিলাইলেটসহ অসংখ্য উপাদান। এছাড়াও জামের অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে।
মানুষের মুখের লালার মধ্যে এক ধরনের রঞ্জক পদার্থ উৎপাদিত হয়, যা থেকে ব্যাকটেরিয়া জন্ম নেয়। এধরনের ব্যাকটেরিয়া থেকে মুখে ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা থাকে। জাম মুখের ভেতর উৎপাদিত ক্যানসারের সহায়ক ব্যাকটেরিয়ার প্রভাব থেকে দেহকে রক্ষা করে এবং মুখের ক্যানসার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য জাম বা এর জুস দারুণ উপকারী। এতে ক্যালোরির পরিমাণ খুব কম থাকে। জামে উপস্থিত ফ্ল্যাভনয়েড ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এর বীজও ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য দারুণ কার্যকরী। জামে পর্যাপ্ত পরিমাণে ডায়েটরি ফাইবার থাকায় এটি হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়। ডায়রিয়ার রোগীদের জন্য জামের রস বেশ উপকারী । নিয়মিত জামের রস খেলে মূত্রথলিও ভালো থাকে। জামে ক্যালোরির পরিমাণ খুব কম থাকায় ওজন কমাতে এটি বেশ কার্যকর।
আরো দেখুন: আদা চা এর উপকারিতা
দাঁতের মাড়ি থেকে রক্ত পড়া বন্ধ করতে কালো জাম দারুণ ভূমিকা রাখে। এ ছাড়া নিশ্বাসে দুর্গন্ধ দূর করতেও জামের জুড়ি নেই। জাম রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেহের প্রতিটি প্রান্তে অক্সিজেন পৌঁছে দেয়। জাম মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ায়। সেই সঙ্গে রক্তশূন্যতা ও অ্যাজমা সমস্যা প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে। বর্ষায় বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ কমাতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কালোজামের তুলনা নেই। বিশেষজ্ঞরা বলেন, জামে যেসব উপাদান আছে তা উচ্চ রক্তচাপ কমাতেও সহায়তা করে।
Source: dailyinqilab.com