ক্যাকটাস, বাংলায় যেটা ফণীমনসা—সারা গায়ে কাঁটাযুক্ত অদ্ভুতদর্শন এক উদ্ভিদ। তবে এর ফুলের বাহার মোহনীয় বটে। আর এই অদ্ভুতদর্শন ও মোহনীয় ফুলের কারণেই ক্যাকটাস বেশ আদরণীয়। ঘর ও বাগানের সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য এর চাহিদাও কম নয়। এখন শোনা যাচ্ছে, খাদ্য হিসেবেও এর আছে নানান গুণাগুণ। বাইরে কাঁটা থাকলেও ক্যাকটাসের ভেতরে বেশ রসাল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এতে আছে উপকারী খনিজ ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান। ডায়াবেটিস ও উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরলের বিরুদ্ধে লড়াই চালানোর জন্য এটা কার্যকর। এর আঁশ ও পেকটিন ব্যবহার করা হচ্ছে জ্যামের ‘জেলিং’ উপাদান হিসেবে। অনেকটা ঘৃতকুমারীর রসের মতো।
অ্যামি শ্যাপিরোর কথায়, উচ্চমাত্রার আঁশজাতীয় খাবারে যথেষ্ট পরিমাণে পেকটিন থাকে। এই পেকটিন রক্তের অতিরিক্ত কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে। এ ছাড়া রক্তচাপও কমিয়ে দেয়।
উচ্চমাত্রার আঁশ কার্বোহাইড্রেট হজম করার টোটকা বলতে পারেন। আর কার্বোহাইড্রেট হজম মানেই সেটা চিনিতে রূপান্তর না হওয়া। এভাবেই ক্যাকটাস নিয়ন্ত্রণ করে ডায়াবেটিসের মতো জটিল সমস্যা। এতে ক্যালরির পরিমাণও খুব কম। ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও ক্যাকটাস হতে পারে ভালো ‘ওষুধ’। ওজন ঠিকঠাক রাখতে দরকার উচ্চমাত্রার আঁশজাতীয় খাবার, যেটাতে আবার ক্যালরির পরিমাণ থাকবে কম। তাই ক্যাকটাসকে এ ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা দশে দশই দিচ্ছেন!
আরো দেখুন: মাশরুমের উপকারিতা
খাদ্য হিসেবেও ক্যাকটাসের আছে নানা গুণভিটামিনের কথায় আসা যাক। ক্যাকটাসে ভিটামিন ‘এ’ এবং ‘সি’-র কমতি নেই। বুঝতেই পারছেন, এই দুটি খাদ্য উপাদান আপনার ত্বক ও কোষ ভালো রাখার অন্যতম নিয়ামক। খনিজ উপাদানের বেলায় বলা হচ্ছে, ক্যাকটাসে যে পরিমাণ ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও সোডিয়াম আছে, তা আপনার মাংসপেশির ব্যথা, কোষের কাজকারবার ঠিকঠাক রাখে। আর এতে পানির পরিমাণও অনেকখানি, সহজেই অনুমেয় পানির অভাব দূর করতেও এটা পটু। এত কিছুর মিশেলে ক্যাকটাস খুব কার্যকর মাথাধরার মতো সমস্যার বেলায়। এক গ্লাস ক্যাকটাসের জুস তাই হতে পারে মাথাধরার ওষুধ।
Source: http://www.online-dhaka.com/80_89_36272_0-cactus-nutrients.html