খাসির মাংসের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা আমাদের শরীরের জন্য প্রচুর। খাসির মাংসের পুষ্টি উপাদান অন্যান্য মাংসের মতই যতেস্ট। এই মাংস খেতে সুস্বাদু এবং সাস্থ্য ঝুকি কম। তবে রান্নায় মাঝে মাঝে হালকা গন্ধ লাগায় অনেকেই খেতে পছন্দ করে না। কিন্তু মাংস রান্নার উপর নির্ভর করে অনেকটা স্বাদের। এছাড়া বাজারে খাসির মাংসের দাম সবচেয়ে বেশি হওয়ায় এটা কেনা অনেকের কাছে কস্টসাধ্য।মাংসের যে প্রোটিন রয়েছে তার মধ্যে খাসির মাংস অন্যতম। প্রোটিনের চাহিদা এই মাংস থেকে আমরা সহজে পেতে পারি।
খাসির মাংসের পুষ্টিগুণ
অন্যান্য মাংসের মতই খাসির মাংসের পুষ্টিগুণ আনেক। দেহের প্রয়োজনী ভিটামিন খনিজ উপাদান এই মাংস থেকে পেত পারি। খাসির মাংসের পুষ্টি উপাদান জেনে নিই
- প্রতি ১০০ গ্রাম খাসির মাংসে থাকে
- শক্তি ২৯৪ কিলোক্যালরি
- চর্বি ২১ গ্রাম ,
- কোলেস্টেরল ৯৭ মি.গ্রা.
- সোডিয়াম ৭২ মি.গ্রা.
- পটাসিয়াম ৩১০ মি.গ্রা.
- প্রোটিন ২৫ গ্রাম । এছাড়া এতে উচ্চ মাত্রায় লৌহ থাকে
খাসির মাংসের উপকারিতা
খাসির মাংসে প্রচুর পরিমানে লৌহ থাকে। তাই আমাদের দেহের প্রয়োজনীয় লৌহের চাহিদা খাসির মাংস থেকে পেতে পারি। এছাড়া খাসির মাংসেও প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে, যা শরীরের শক্তি জোগাতে সাহায্য করে। দূর্বল শরীরের জন্য প্রয়োজন মত নিয়মিত খাসির মাংস খেলে অধিক শক্তি পাওয়া যাবে। এছাড়া খাসির মাংসের উপকারিতা আর ও রয়েছে। খাসির মাংসে তুলনামূলক ভাবে কম চর্বি থাকে। এতেও প্রচুর পরিমানে আয়রন থাকে। আয়রন আমাদের দেহের জন্য খুব প্রয়োজনীয় উপাদান। রক্তশল্পতা দূর করতে আয়রনের জুড়ি নেই। বাড়ন্ত বয়সের শিশুদের জন্য আয়রন খুব দরকার । এছাড়া গর্ভবতী মায়েদের আয়রনের প্রয়োজন রয়েছে। তাই আয়রনের ঘাটতি পূরনের জন্য খাসির মাংস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যতেস্ট পরিমানে কোলেস্টেরল থাকায় মোটা হওয়ার জন্য এটি সাহায্যকারি হিসাবে কাজ করবে। পাতলা লিক লিকে শরীরের জন্য নিয়মিত মাংস খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। অতি সহজে শরিরের পরির্বতন আসবে। তাছাড়াও খাসির মাংস সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের চাহিদা পূরন করে।
আরো দেখুন: হাঁসের ডিমের উপকারিতা
খাসির মাংসের অপকারিতা
খাসির মাংসের অপকারিতা রয়েছে কিছু। এই মাংস অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে শরীরে চর্বির পরিমাণ বেড়ে যায়। তাছাড়া খাসির মাংস এর ফলে হৃদ্রোগের ঝুঁকি দেখা দেয় এবং হজমেও সমস্যা হয়। অতিরিক্ত খাসির মাংস খেলে খাদ্যনালি, অগ্ন্যাশয়,ফুসফুস,পাকস্থলী ও স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। কোলস্টেরলের পরিমাণ ও বেড়ে যায়। এ ছাড়া স্ট্রোকের ঝুঁকিও থাকে অনেক।
Source: sastobd.com