গরম গরম মজাদার মিনি সিঙ্গারা রেসিপি

ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় বা গ্রামের মেলাতে ছোট ছোট একধরণের সিঙ্গাড়া পাওয়া যায় যেগুলো একসাথে ২/৩ টা করেও মুখে পোরা যায়। অনেকে এটাকে কুঁচো বা গুঁড়ো সিঙ্গাড়াও ডেকে থাকেন। আমার অতি প্রিয় সাহিত্যিক প্রায়াত হুমায়ুন আহমেদ স্যারের লেখা “রোদন ভরা এ বসন্ত” উপন্যাসেও এই সিঙ্গাড়ার বর্ণনা আছে। উপন্যাস টা যতবার পড়েছি.. ততবার এই পিচ্চি সিঙাড়ার জন্য মনটা উথাল পাতাল করেছে। মনে হয়েছে, ইশ যদি এক প্লেট পেতাম এখন। তাই এবারের রেসিপি মার্বেল সিঙ্গাড়া বা মিনি সিঙাড়া।

উপকরণ

  • ১ কাপ ময়দা
  • ২ টে চামচ তেল
  • ১/৪ চা চামচ কালজিরা
  • ১/৪ কাপ পানি
  • ১/২ চা চামচ লবন

পুরের জন্য লাগবে:

  • ৩ টি সেদ্ধ আলু ছোট
  • ২ টেবিল চামচ পেঁয়াজ কুচি
  • ১ চা চামচ কাঁচামরিচ কুচি
  • ২ টেবিল চামচ ধনিয়া পাতা কুচি
  • ১ চা চামচ শুকনো মরিচ টালা
  • ১/২ টেবিলচামচ চাট মশালা
  • ১/৪ চা চামচ জিরা গুঁড়ো ভাজা
  • ১/২ চা চামচ লবণ
  • ১ চা চামচ ঘি বা, সরিষার তেল
  • ১/২ চা চামচ আমচুর পাওডার (শুকনো কাঁচা আমের গুঁড়ো)
দোকানের সিঙ্গারা রেসিপি
Photo: ayshasrecipe.com

প্রস্তুত প্রণালী

ময়দার সাথে তেল ও লবন দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। তারপর অল্প অল্প করে পানি দিয়ে একটু শক্ত খামির তৈরি করে ১/২ ঘণ্টা ঢেকে রেখে দিন।

একটা বাটিতে আলু সেদ্ধ হালকা করে একটু চটকে নিন। পুরোটা একদম ভর্তা করা যাবে না, কিছু কিছু ছোটবড় দানা রাখতে হবে। তারপর বাকি সব উপকরণ দিয়ে আলতো হাতে ভালো করে মেখে মিশিয়ে নিতে হবে। ব্যাস আমাদের সহজ সিঙ্গারার পুর তৈরী হয়ে গেলো। আপনারা চাইলে আমচুর পাওডার বাদেও বানাতে পারেন।

এবার মেখে রাখা খামিকে সমান ১২ থেকে ১৪ ভাগে ভাগ করে নিন। প্রতিটি ভাগে ২ টি করে সিঙ্গাড়া হবে। এখন একেকটি ভাগ নিয়ে বেলন দিয়ে ডিম্বাকারে অর্থাৎ লম্বাটে গোল করে বেলে ছুরি দিয়ে আড়াআড়ি কেটে দু’ভাগ করে নিন।একভাগ দু’হাতে ধরে কাটা অংশ কোণ বা পানের খিলির মত ভাঁজ করে ভিতরে চেপে আলুর পুর ঢুকিয়ে দিতে হবে। তারপর খোলামুখে পানি লাগিয়ে দুভাঁজ করে ভালভাবে এঁটে দিন। আমার চ্যানেলের ভিডিও দেখলে ভাজের পদ্ধতিটা আপনারা আরো ভালো করে বুঝে নিতে পারবেন। এভাবে সব সিঙ্গারা পুর ভরে ডুবতেলে মুচমুচে সোনালী করে ভেজে নিতে হবে ।

আরো দেখুন: রেস্টুরেন্ট স্বাদের চাওমিন বা নুডলস রেসিপি !

দোকানের মতো পারফেক্ট সিঙ্গারা বানাতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপসঃ

খামির বেশ টাইট বা শক্ত করে মাখতে হবে এবং তৈরি করার পর তাতে সামান্য তেল মেখে ভেজা কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখুন অন্তত ১/২ ঘণ্টা।

সিঙ্গাড়া অবশ্যই ডুবোতেলে ভাজতে হবে। সবগুলা সিঙ্গারা বানিয়ে তার পর না ভেজে ৬/৮ টা করে বানান আর তেলে ছাড়ুন, কারণ একেক ব্যাচ ভাজতে বেশ সময় লাগে।

তেল খুব গরম করবেন না। মাঝারি উত্তাপে সিঙ্গারা তেলে দিন। চুলার আঁচ হবে নিম্ন মাঝারি। একেকটা ব্যাচ ভাজতে ১৫-২০ মিনিট সময় নিন। হ্যাঁ, তা একটু সময় বেশি লাগবে বৈকি কিন্তু এতে আপনার সিঙ্গারা যেমন মুচমুচে হবে তেমনি এর গা ও মসৃণ হবে। ভাজার পর কোনো দানা উঠবে না আর বাইরের আবরণ রাবারের মতো ও হয়ে যাবে না।

সিঙ্গারার পকেট বানাতে রুটি খুব বেশি পাতলা করবেন না। এটা অনেক তা পরটার মত মোটা হবে।

Source: https://ayshasrecipe.com/mini-shingara/

Leave a Comment