জবার মধ্যে রয়েছে সাইট্রিক ও ম্যালিক এসিড। যার মধ্যে আছে এক্সোফোলিয়েটিং এর ক্ষমতা। এই এসিড আমাদের মুখের কালো দাগ চাপের বিরুদ্ধে লড়ে ত্বককে রাখে সুন্দর। যাদের প্রচুর কালো দাগ ছোপের সমস্যা রয়েছে তারা জবা ফুল বেটে তার প্রলেপ মুখে দিতে পারেন। এছাড়া যাদের মুখের ত্বক রুক্ষ ও শুষ্ক। তারা একটি ফেস প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। নারকেল তেল কিংবা তিলের তেল মধ্যে কয়েকটি জবা ফুলের পাপড়ি দিয়ে গরম করে নিন। এরপর ঠান্ডা হলে ত্বকের উপরে লাগিয়ে নিন। কিছুক্ষন পরে ধুয়ে ফেলুন। ত্বক হয়ে যাবে উজ্জ্বল য টানটান।
অনেকেই জবা ফুলের তৈরি চা কিংবা হিবিসকাস টি সম্পর্কে শুনেছেন। এই চা তে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস। যা ক্যান্সারের মতো মরণব্যাধি রোগকে প্রতিরোধে সহয়তা করে। তাই যাদের এই সমস্যায় ভুগছেন তারা জবা ফুলের চা খেতে পারেন। এছাড়া যাদের অতিরিক্ত ওজন রয়েছে তারা এই হিবিসকার টি খেতে পারেন। মেদ ঝড়ে যেতে শুরু করবে এবং ওজন ও কমিয়ে দিনে। এতে শরীর ও সুস্থ থাকবে।
আজকাল মেয়েদের ঋতুস্রাবের চক্রটা ঠিকঠাকভাবে হয়না। অর্থাৎ অনেক সময় ১ থেকে ২ মাস পিরিয়ড হয়না। যাকে সাধারণত আমরা অনিয়মিত পিরিয়ড বলে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্যে জবা ফুলের একটি ফর্মূলা ব্যবহার করা যায়। কয়েকটি জবা ফুলের কুড়ি নিয়ে তাতে ১গ্রাম দারচিনি দিয়ে একসাথে বেটে পানিতে নিয়ে মিশিয়ে খান। পিরিয়ড শুরুর ডেট থেকে পিরিয়ড স্বাভাবিক পর্যন্ত খেতে থাকুন। সকালে নাস্তার পরে নিয়মিত খাবেন। পিরিয়ড সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
আরো দেখুন: আদা চা এর উপকারিতা
আমরা সাধারণত জানি যেকোনো তেল তৈরিতে জবা ফুলের নির্যাস ব্যবহার করা হয়। চুল পড়া ঠেকানো, চুল পড়া কমিয়ে চুলের ঘনত্ব বাড়ানো, কালো উজ্জ্বল চুল, লম্বা চুল ইত্যাদি চুলের যেকোনো সমস্যাতে বিশেষভাবে কাজ করে এই জবার ফুল ও পাতা। এমনকি চুলের খুশকি হওয়া থেকে রক্ষা, সাদা চুল উঠা কমানো, সুস্থ্য স্ক্যাল্পে নতুন চুল উঠা ইত্যাদি সমস্যা রোধ করতেও জবা ফুলের ভূমিকা অনেক। এছাড়া হেয়ার কন্ডিশনার, হেয়ার শ্যাম্পু তৈরিতেও জবা ফুল ব্যবহৃত হয়।
হিবিসকাস টি অর্থাৎ জবা ফুলের চা কিংবা জবা ফুলের নির্যাস ঔষধি গুণাগুণ সম্পন্ন কাজ করছে। যেমন লিভার সুস্থ রাখতে, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ রাখতে, কোলেস্টেরল কমিয়ে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি থেকে বাঁচার জন্যে এই চা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ফুটন্ত পানিতে জবা ফুলের শুকনো পাপড়ি দিয়ে এই চা বানানো হয়। বানানো এই হার্বাল চা তে কোনো ক্যাফেইন থাকেনা। তাই এটি শরীরের বিপরীত প্রতিক্রিয়া ঘটায় না।
Source: theuntoldtips.com