বাংলার নিজস্ব আদিম আভিজাত্যপূর্ণ খাদ্যদ্রব্য পিঠা। এটি চালের গুঁড়ো, আটা, ময়দা, অথবা অন্য কোনও শস্যজাত গুঁড়ো দিয়ে তৈরি করা হয়। অঞ্চলভেদে পিঠার ভিন্ন ভিন্ন বৈচিত্র্য দেখা যায়। গ্রামাঞ্চলে সাধারণত নতুন ধান তোলার পর থেকেই পিঠা তৈরির আয়োজন করা হয়। শীতের ও পৌষ পার্বণের সময় বাংলার প্রতি ঘরে ঘরে পিঠে তৈরি করা হয়।
জেনে নিন নারিকেল পুলি তৈরির রেসিপি
উপকরণ
- আটার খামির তৈরীর জন্য
- টাটকা চালের গুঁড়া ৬ কাপ
- পানি পরিমাণ মতো
- লবণ সামান্য
- পুর তৈরীর জন্য
- কোরানো নারিকেল ২ টা
- চিনি দেড় কাপ
- তেল বা ঘি ১ টেবিল চামচ
- সাদা এলাচ ৪ টা
- তেজপাতা ছোট দুইটা
- আর ডুবো তেলে ভাজার জন্য তেল পরিমান মত
আরোও পড়ুন: চিকেন মোমো রেসিপি
প্রণালী
প্রথমে একটি কড়াই বা প্যানে ঘি বা তেল দিয়ে গরম করে তার মধ্যে কোরানো নারিকেল, চিনি, এলাচ, তেজপাতা একসাথে জ্বাল দিয়ে পুর তৈরি করে নিতে হবে।পুর তৈরীর সময় চুলার আঁচ অল্প থাকবে এবং ঘন ঘন নেড়ে দিতে হবে যেন পুড়ে বা লেগে না যায় । পুর তৈরী হয়ে গেলে নামিয়ে ঠান্ডা হওয়ার জন্য রেখে দিন।
এরপর চুলায় একটি পাত্রে পরিমাণমতো পানি ও লবণ দিয়ে ফুটাতে হবে। পানি ফুটে উঠলে চালের গুঁড়া অল্প অল্প করে দিয়ে ভালোভাবে নেড়ে সুন্দর কাই তৈরী করতে হবে। এরপর আটা সিদ্ধ হবার জন্য কিছুক্ষণ একদম অল্প আঁচে ঢেকে রাখতে হবে। আটা সিদ্ধ হলে নামিয়ে ভালো করে মথে মসৃন খামির তৈরী করতে হবে। এবার বানিয়ে রাখা খামির থেকে অল্প অল্প করে আটার লেচি নিয়ে হাতে পুলি বানিয়ে তার মাঝে নারিকেলের পুর ভরে পুলির মুখ বন্ধ করে নকশা কেটে দিন। এভাবে সবটুকু খামির দিয়ে পুলি বানিয়ে ফেলুন।এরপর ডুবো তেলে হালকা আঁচে নারিকেল পুলি বাদামী করে ভেজে নিন। একবার বানিয়ে রেখে দিলে বেশ কয়েক দিন ধরে খাওয়া যায় নারিকেল পুলি। এই উপকরণে ৮ -১০ জন কে পরিবেশন করা যাবে।
Source: aznewsbd.com