উপকরণ
পটল ৪টি। গরু/মুরগি/চিংড়ি কিমা অথবা কোরানো নারিকেল ১৫০ গ্রাম। পেঁয়াজকুচি ২ টেবিল-চামচ। পেঁয়াজবাটা ২ টেবিল-চামচ। হলুদগুঁড়া সামান্য। মরিচগুঁড়া স্বাদমতো। জিরাগুঁড়া আধা চা-চামচ। রসুনবাটা আধা চা-চামচ। আদাবাটা আধা চা-চামচ। গরমমসলার গুঁড়া ১/৪ চা-চামচ। আলু ১টি (সিদ্ধ করে অল্প লবণ দিয়ে চটকে নেওয়া) লবণ স্বাদমতো। তেল প্রয়োজনমতো।
পদ্ধতি
বড় দেখে পটল বেছে নিন। পটলের খোসা না ছিলে, ছুরি দিয়ে আঁচড়ে খোসা ফেলে দিন। পটল ফালি করবেন না, আস্তই রাখুন।
পটলের বোটার দিক আর পেছনের দিকের মাথা কেটে ফেলুন অল্প করে। তারপর ওই দুটি দিক দিয়ে আস্তে আস্তে ভেতরের সব কিছু বের করে আনুন। এই কাজের জন্য চুড়ির আলনাতে থাকা লম্বা কাঠি/পাইপ অথবা জুসের দোকানে গ্লাসের সঙ্গে প্লাস্টিকের যে মোটা পাইপ দেয়, সেটা ব্যবহার করতে পারেন।
পটলের হালকা হলুদ আর লবণ মাখিয়ে রেখে দিন। প্যানে একদম সামান্য তেল গরম করে পেঁয়াজকুচি, অল্প হলুদ-মরিচ-জিরাগুঁড়া, আদা-রসুনবাটা, লবণ আর গরমমসলার গুঁড়া দিয়ে কিমা অথবা কোরানো নারিকেল রান্না করে ঠাণ্ডা করে নিন।
এখন পটলের খোলের মধ্যে খুব সাবধানে আস্তে আস্তে চেপে চেপে পুরগুলো ভরে নিন। চোটকে রাখা আলু দিয়ে পটলের দুই পাশের মুখ বন্ধ করে নিন। যদি পুর ভরার সময় দুই পাশে অল্প করে খানিকটা জায়গা ফাঁকা রাখেন তবে আর পুর বেরিয়ে আসবেনা বা আলু দিয়ে মুখ বন্ধও করতে হবে না।
আরো দেখুন: টেংরা মাছের রেসিপি
প্যানে অল্প তেল দিয়ে পুরভরা পটলগুলো অল্প আঁচে ভেজে তুলে রাখুন। খেয়াল রাখবেন যেন পটল পুড়ে না যায়। সেই একই তেলেই বাটাপেঁয়াজ, বাকি হলুদ-মরিচ-জিরাগুঁড়া, আদা-রসুনবাটা আর লবণ দিয়ে কষিয়ে পটলগুলো ছেড়ে দিন এবং সিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত রান্না করুন।
প্রয়োজনে অল্প গরম পানি দিতে পারেন। মসলা মাখা মাখা বা গ্রেভি থাকতে নামিয়ে নিন।
খুব সামান্য উপকরণ পরিবর্তনের মাধ্যমে এই পটলের দোলমাতে ভিন্নতা আনা যায়। উপরের পদ্ধতিতে এক রকম স্বাদ পাবেন। আবার যদি নামানোর আগ দিয়ে একটু ধনেপাতার কুচি আর ফালি করা কাঁচামরিচ ছড়িয়ে দেন তাহলে স্বাদ বদলে যাবে অনেকখানি।
নারিকেল দুধ বা দইয়ের ব্যবহার নতুন মাত্রা যোগ করবে দোলমার স্বাদে। এমনকি মসলা কষানোর সময় যদি একটু কিমা করা টমেটো বা টমেটো পিউরি ব্যবহার করেন, দেখবেন তৈরি হয়ে যাবে ভিন্ন স্বাদের পটলের দোলমা।
Source: https://bangla.bdnews24.com/lifestyle/article955132.bdnews