এমন কোন বাঙালি বাড়ি নাই, যার রান্নাঘরে পেঁয়াজ খুঁজে পাওয়া যাবে না। খাবারের স্বাদ বাড়াতে মসলা হিসেবে আবার কখনো সালাদ হিসেবে কাঁচা পেঁয়াজ খেয়ে থাকি আমরা। পেঁয়াজের গুণাবলী যেমন রয়েছে তেমনি রয়েছে নানা পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া। আসুন দেখে নেই পেঁয়াজের পুষ্টিগুণ থেকে শুরু করে এর নানা ব্যবহার।
রান্না ছাড়াও নানাভেব পেঁয়াজ ব্যবহার করতে পারি আমরা। রইলো কিছু নমুনা-
ডায়াবেটিস রোধে
পেঁয়াজ শরীরের ইনসুলিন উৎপাদন বাড়িয়ে ডায়াবেটিস রোধ করতে সাহায্য করে। তাছাড়া রক্তে চিনির পরিমাণ ঠিক রাখতেও সাহায্য করে।
জ্বর, সর্দি- কাশি দূর করতে
জ্বর, ঠাণ্ডা, কাশি, গলা ব্যথা, এলার্জি ইত্যাদি খুব দ্রুত পেঁয়াজের দ্বারা দূর করা সম্ভব। পেঁয়াজের রসের সাথে মধু মিশিয়ে খেলে তাৎক্ষণিকভাবেই রোগ নিরাময় হয়।
রক্তপাত বন্ধ করতে
নাক দিয়ে রক্ত পড়লে, এক টুকরা পেঁয়াজ নাকের সামনে নিয়ে নিঃশ্বাস নিলে, রক্তপাত ধীরে ধীরে কমে যাবে।
হজম সমস্যায়
পেঁয়াজ পাচনতন্ত্রের উন্নয়নে কাজ করে। যাদের হজমে সমস্যা রয়েছে তারা পেঁয়াজ খেলে ফলে হজম রস বৃদ্ধির মাধ্যমে এই সমস্যা নিরাময় হয়।
ক্ষত সারতে
পোড়া ত্বকে, পোকা-মাকড় বা মৌমাছি কামড় দিলে সেই জায়গায় পেঁয়াজের রস লাগালে তা ক্ষত সারতে সাহায্য করে। যদিও কিছুটা জ্বলতে পারে।
ক্যান্সার রোধে
ক্যান্সার রোধ করতেও পেঁয়াজ সাহায্য করে। এটি মাথা, ঘাড় ও কোলন ক্যান্সার দূর করতে সাহায্য করে।
রোগ-প্রতিরোগে
পেঁয়াজে রয়েছে অ্যান্টি-বায়োটিক, অ্যান্টি-সেপ্টিক, অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল উপাদান। তাই রোগের সংক্রমণ দূর করতে সাহায্য করে এটি।
আরো দেখুন: পেস্তা বাদামের উপকারিতা
ব্যাথা নিরাময়ে
শরীরের যেকোনো ব্যথা দূর করতে পেঁয়াজ ব্যাবহার করা যায়। এর জন্য তিলের তেল অথবা রেড়ীর তেলের সাথে পেঁয়াজ ভেজে নিতে হবে। তারপর ব্যথার জায়গায় লাগিয়ে রাখুন।
ত্বকের কাল দাগ দূর করতে
ত্বকের কাল দাগ দূর করার জন্য পেঁয়াজ ও হলুদের রস একসাথে মিশিয়ে লাগিয়ে রাখুন। অনেক উপকার পাবেন।
চুল পড়া রোধ করতে
চুল পড়া রোধ করার জন্য মাথায় পেঁয়াজের রস ব্যাবহার করলে উপকার পাওয়া যায়।