শীতের শেষ ও গরমের শুরু এই সময় আবহাওয়ার পরিবর্তন খুব তাড়াতাড়ি প্রভাব ফেলে শরীরে। তার জেরে ছোট থেকে বড় প্রায় সকলেই নাজেহাল হন। এই সময়টায় খেতে পারেন বেল। এর রয়েছে হাজারও উপকারিতা। সেই প্রাচীন সময় থেকেই কিন্তু আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে পাকাপক্ত জায়গা করে নিয়েছিল বেল। তাই বেল খেলে সুস্থ থাকতে পারবেন।
বেল একটি পুষ্টিকর আর উপকারী ফল। কাচা পাকা দুটোই সমান উপকারী। বেল কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে ও আমাশয়ে উপকার করে। আধাপাকা সিদ্ধ বেল আমাশয়ে অধিক কার্যকরী। বেলের শরবত হজমশক্তি বাড়ায় এবং তা বলবর্ধক। বেলের পাতার রস মধুর সঙ্গে মিশিয়ে পান করলে চোখের ছানি ও জ্বালা উপশম হয়।
বেল পাতার রস, মধু ও গোল মরিচের গুঁড়া মিশিয়ে পান করলে জন্ডিস রোগ নিরাময় হয়। শিশুর স্মরণশক্তি বাড়ানোর জন্য বেল অত্যন্ত উপকারী। এবার জেনে নিন বেলের অন্যান্য উপকারিতা সম্পর্কে…
* কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে সবাই জানেন বেলের কার্যকারিতা। বেল পেট পরিস্কার রাখে, একথা কিন্তু বৈজ্ঞানিক ভাবেও সত্য। নিয়মিত টানা ৩ মাস যদি আপনি বেল খান তাহলে আপনি সহজেই মুক্তি পেতে পারেন এই সমস্যা থেকে।
* আলসারের ওষুধ হিসেবে বেল। পাকা বেলের শাঁসে যে ফাইবার আছে তা আলসার উপশমে খুবই কার্যকরী। সপ্তাহে তিনদিন খান বেলের শরবত। এছাড়া বেলের পাতা সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রেখে পরের দিন খেলেও অনেকংশে কমে আলসার।
* ডায়াবেটিস কমায় বেল। পাকা বেলে আছে মেথানল নামের একটি উপাদান, যা ব্লাড সুগার কমাতে অনবদ্য কাজ করে। তবে এক্ষেত্রে শরবত করে নয়, বেল খেতে হবে এমনিই।
আরো দেখুন: পাকা আমের উপকারিতা
* আর্থ্রারাইটিস কমাতে দারুন কার্যকরি বেল। ব্যাথা ছাড়া এখন খুব কম মানুষই আছেন। নিয়মিত বেল খেলেই মুক্তি পাবেন আর্থ্রারাইটিসের সমস্যা থেকে।
* এনার্জি বাড়াতে বেলের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ১০০ গ্রাম বেল ১৪০ ক্যালোরি এনার্জি দেয়। এছাড়াও বেল মেটাবলিক স্পিড বাড়ায়। বেলে প্রচুর ভিটামিন সি আছে। এই ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
* ব্লাড প্রেসার কমায় বেল। ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেলের জুড়িমেলা ভার। শরবত কিংবা এমনিই খেতে পারেন পাকা বেল।
* ক্যান্সারেও খুব উপকারি বেল। এতে রয়েছে অ্যান্টি প্রলেফিরেটিভ ও অ্যান্টি মুটাজেন উপাদান। যা ক্যান্সার সৃষ্টিতে বাঁধা] দেয়।
Source: ekushey-tv.com