রাস্তাঘাটে বের হলেই চোখে পড়ে ঠেলাগাড়িতে পোড়ানো ভুট্টার বেচাকেনা। ভুট্টা কেবল খেতেই মজা নয়, রয়েছে নানান পুষ্টিগুণ।
খাদ্য ও পুষ্টি-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে ভুট্টার উপকারিতা সম্পর্কে জানানো হল।
ভুট্টার পুষ্টি গুণ
- প্রতি ১০০ গ্রাম মিষ্টি ভুট্টায় ১৯ গ্রাম কার্বোহাইড্রেইট
- ২ গ্রাম আঁশ
- ৩ গ্রাম প্রোটিন
- ১.৫ এর কম চর্বি এবং ৮৬ ক্যালরি থাকে
- অন্যদিকে ১০০ গ্রাম পপকর্ণে ৯২ ক্যালরি
- ২.৯ গ্রাম প্রোটিন
- ১৮.৭ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট এবং ১ গ্রাম চর্বি থাকে
ভুট্টা নির্বাচন করার উপায়
- সবসময় সোজা , ভরাট এবং খানিকটা সোনালি রংয়ের ভুট্টা বাছাই করতে হবে।
- বিবর্ণ হয়ে গেছে এমন ভুট্টা এড়িয়ে চলুন।
সংরক্ষণের উপায়
- প্লাস্টিকের ব্যাগে মুড়িয়ে ভুট্টা রাখতে হবে। এবং তা রেফ্রিজারেইটরে এক সপ্তাহ সংরক্ষণ করা যাবে।
- অপরিপক্ক ভুট্টা চাটনি করেও সংরক্ষণ করা যায়।
স্বাস্থ্যোপকারিতা
অ্যানিমিয়ার ঝুঁকি কমায়: ভুট্টা লৌহ সমৃদ্ধ যা রক্তের লোহিত কণার প্রয়োজনীয় খনিজের চাহিদা পূরণ করে। এভাবেই এটা অ্যানিমিয়ার ঝুঁকি কমায়।
রক্ত চাপ কমায়
এতে পাওয়া যায় ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস যা উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমায়।
আরো দেখুন: সিমের বিচি উপকারিতা
রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ
ভুট্টায় থাকা ফাইটোকেমিকেল শরীরে ইন্সুলিনের শোষণ ও নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ করে, যা রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
শক্তি বর্ধক
মিষ্টি ভুট্টা বা ‘সুইট কর্ন’ আঁশ জাতীয় শস্য যাতে রয়েছে কার্বোহাইড্রেটের যৌগ। এটা দেরিতে হজম হয় এবং কাজের শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করে।
দৃষ্টি শক্তি বাড়ায়
হলুদ ভুট্টা খাওয়া এক টন বিটা ক্যরোটিন সরবারহ করে। যা চোখ ও ত্বকের জন্য খুবই ভালো।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
- ইনজেস্টিবল প্রোটিন’ থাকায় এটা অনেক সময় অ্যালার্জির কারণ হতে পারে
- পরিমাণে বেশি খাওয়া হলে হজমে সমস্যা দেখা দিতে পারে
- কাঁচা ভুট্টা খেলে ডায়রিয়া হতে পারে
- ভুট্টা খাওয়ার কারণে ঘুম ঘুম ও নিস্তেজভাব দেখা দিতে পারে
- অতিরিক্ত ভুট্টা খাওয়া ওজন বাড়ার কারণ
Source: https://bangla.bdnews24.com/lifestyle/article1591354.bdnews