রুই মাছের উপকারিতা অনেক। প্রবাদে আছে মাছে ভাতে বাঙালী ।আমাদের খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন রুটিন হিসাবে মাছ কে সবচেয়ে বেশি প্রধান্য দেওয়া হয়। আর রুই মাছের পুষ্টিগুণ প্রচুর রয়েছে। মাছে কম ক্যালরি থাকায় সবাই মাছ খেতে পারে। মাছের তেল ওমেগা ৩ ফ্যাটি এর একটি ভালো উৎস, যা মস্তিস্ক খাদ্য নামে পরিচিত। মাছের শতকরা ২০ ভাগই আমিষ রয়েছে। মাছে আছে প্রচুর ভিটামিন ও খনিজ লবণ তাছাড়াও খনিজ তেল,মাছে চর্বি, আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাস ইত্যাদি পাওয়া যায়। এতে বুজা যায় রুই মাছের উপকারিতা প্রচুর।
রুই মাছের বৈজ্ঞানিক নাম
রুই মাছ(ইংরেজি: Rohu Carp; বৈজ্ঞানিক নাম: Labeo rohita) বাংলাদেশ ও ভারতে বহুল পরিচিত মাছগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। তবে আন্তর্জাতিকভাবে রুই মাছে-র নাম বলা হয়ে থাকে রোহু। এর স্থানীয় নাম রুই, রোহিতা, রুহিত, রাউ, নলা, গরমা, নওসি। রুই মাছ ভারত (মূল ভূখণ্ড),বাংলাদেশ , পাকিস্তান, ও মায়ানমারের নদীতন্ত্রের প্রাকৃতিক প্রজাতি। মিষ্টি জলের পুকুর, নদী ,হ্রদ, ও মোহনায় এই মাছ পাওয়া যায়। বাংলাদেশে বিভিন্ন ছোট বড় নদীতে পুকুরে এদের বিচরণ ,ডিম ছাড়ার সময় প্লাবন ভূমিতে প্রবেশ করে। স্বাদ ও সহজ চাষপদ্ধতি ও অর্থনৈতিক গুরুত্বের কারণে ও পুষ্টি ঘাটতি মেটাতে বাংলাদেশ রাশিয়া,শ্রীলঙ্কা, চীন, জাপান, ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া এবং আফ্রিকান দেশগুলোতে রুই মাছে-র ব্যাপক চাষ হচ্ছে। এছাড়াও আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের মিষ্টি জলের নদীতেও অনুপ্রবেশিত রুইয়ের সফল চাষ হচ্ছে।
রুই মাছের পুষ্টিগুণ
রুই মাছের পুষ্টিগুণ যতেষ্ট থাকায় এই মাছের চাষ আমাদের দেশে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই মাছ খেতে যেমন সুস্বাদু তেমন চাষ করা সহজ। রুই মাছ আমাদের সকলের প্রিয় একটি মাছ। রুই মাছে-র পুষ্টিগুণ নিছে দেওয়া হলো
- প্রতি ১০০ গ্রাম রুই মাছে আছে
- আমিষ–১৬.৪ গ্রাম
- চর্বি–১.৪ গ্রাম
- ক্যালসিয়াম-৬৮০ মিলিগ্রাম
- ফসফরাস – ২২৩ মিলিগ্রাম
- রুই মাছে-র উপকারিতা
- রুই মাছে-র উপকারিতা
আরো দেখুন: চিংড়ির উপকারিতা কি
আমরা প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় মাছকে সবসময় রাখি। মাছ আমাদের সকলের কম বেশি প্রিয় খাদ্য। আর বড় রুই মাছে-র স্বাদ প্রচুর থাকায় অনেকেয় এই মাছটি বেশি পছন্দ করে। তাছাড়া অন্য মাছের তুলনায় রুই মাছের উপকারিতা অনেক। রুই মাছে ক্যালসিয়াম রয়েছে। আর ক্যালসিয়াম আমাদের শরীরের অনেক উপকার করে। এটি আমাদের দাঁত ও হাঁড় গঠনে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। দাঁত ও মাড়ি মজবুত করতে ক্যালসিয়ামের তুলনা হয় না। আর এই পর্যাপ্ত পরিমানে ক্যালসিয়াম পাবেন রুই মাছ থেকে । নিয়মিত রুই মাছ খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।মাছের ক্যালেরি কম থাকায় যাদের ফ্যাট আছে তাহার মাংসকে দূরে রেখে নিয়মিত মাছ খেতে পারেন। এছাড়া যাহারা ডায়েট কন্ট্রোল করছে তাহাড়া মাংসের পরির্বতে রুই মাছ বেচে নিতে পারেন। মাছের তেলে থাকা ওমেগা থ্রি নামক অসম্পৃক্ত ফ্যাটি এসিড যাহা আমাদর রক্তের ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল LDL ও VLDL কমায় এবং উপকারী কোলেস্টেরল HDL বাড়িয়ে দেয়, ফলে আমাদের হার্টের রক্ত নালিতে চর্বি জমতে পারে না এবং রক্তনালি পরিষ্কার, সংকীর্ণমুক্ত থাকায় রক্ত চলাচল ভালো থাকে। তাছাড়া উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমায় এবং উচ্চ রক্তচাপ থাকলে তা হ্রাস করে। গবেষণায় আরও দেখা গেছে, ওমেগা থ্রি রক্তের অণু চক্রিকাকে জমাট বাঁধতে দেয় না, ফলে আমাদের শরীরে রক্ত নালিতে রক্ত জমাট বাঁধার কারণে সৃষ্ট স্ট্রোক হতে পারে না। সুতরাংহার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোক প্রতিরোধে আমাদের খাদ্য তালিকায় তৈলাক্ত বা রুই মাছ থাকা উচিত। এই গলো থেকে দেখা যায় রুই মাছে-র উপকারিতা রয়েছে অনেক।