অনেকেরই পছন্দের সবজির তালিকায় আছে শিমের নাম। এটি খুবই সুস্বাদু ও পুষ্টিকর। শিম, শিমের বিচি এবং শিমের পাতাও শাক হিসেবে খাওয়া যায়। শিমের বিচিতে রয়েছে উচ্চমানের ফাইবার প্রোটিন, যা শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজন। এতে কোনো কোলেস্টেরল নেই। এনার্জি বা শক্তির জন্য শিমে রয়েছে শতকরা ২০ ভাগ প্রোটিন ও উচ্চমাত্রার কার্বোহাইড্রেট।
প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও আয়রনও রয়েছে এতে। শিম থেকে প্রাপ্ত ফাইবার একাধারে ওজন কমায়, শক্তি জোগায় ও ক্রনিক রোগ দূর করে।এর ভিটামিন বি হার্টের রোগ কমায়, ক্যান্সার ও জন্মগত ত্রুটি প্রতিরোধে সাহায্য করে।
সম্প্রতি এক গবেষণায় বলা হয়, কালো শিমের বিচি কোলন ক্যান্সারে সহায়ক কোলন অ্যাডেনোমার বিপরীতে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে থাকে। এ বিচি দেহের বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থের মাত্রা ও অতিরিক্ত ফ্যাট নিয়ন্ত্রণেও সহায়ক। এতে কোলেস্টোরেল একেবারেই নেই। এর ভিটামিন বি৬ বা ফোলেট শরীরে অ্যামিনো অ্যাসিড তৈরি করে। এটি রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণ এবং গ্লাইকোজেন সরবরাহ করে।
এটি হজমে সহায়তাসহ দেহে কার্বোহাইড্রেট এবং প্রোটিনের মাত্রা ঠিক রাখে। গর্ভবতী নারীদের জন্য এটি অত্যন্ত উপকারী। এটি ওজন কমাতে সহায়তা করে থাকে।