আমলকী প্রাকৃতিকভাবে বেশ কয়েকটি চিকিৎসার কাজে ব্যবহার হতে পারে। যদিও আমরা অনেকে আমলকীর রসের স্বাস্থ্য উপকারিতা সর্ম্পকে জানি, কিন্তু অনেকেই আবার চিকিৎসা ব্যবস্থায় এর ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন নই।
শীতের আগেই ত্বকের যত্ন
আমলকী আপনার ত্বককে টানটান করে এবং আপনার চুলকে চকচকে এবং খুশকিমুক্ত করতে সহায়তা করে। আমলকী কীভাবে আপনাকে সুন্দর ও দীপ্তিময় রাখতে সহায়তা করে তাই থাকছে আজকের প্রতিবেদনে:
ব্রণের দাগ দূর করে
আমলকী প্রাকৃতিক উপায়ে ব্রণের দাগ এবং ত্বকের অনান্য কালচে দাগ দূর করতে সহায়তা করে। আমলকীর রস আপনার মুখে লাগান, এবং ৩০ মিনিটের জন্য রেখে দিন। এবার হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আপনার যদি সংবেদনশীল ত্বক থাকে তবে পানির সাথে রসটি মিশ্রণ করুন এবং প্রয়োগ করুন। আরো ভাল ফলাফলের জন্য এই চিকিৎসা মাসে কয়েকবার ব্যবহার করতে পারেন।
মৃত কোষ থেকে ত্বককে রক্ষা
আমলকীর রস ফেস স্ক্রাব হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে কারণ এটি ত্বককে ভালভাবে ফুটিয়ে তুলতে সহায়তা করে। আমলকীতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং ভিটামিন সি ত্বককে টানটান করতে সহায়তা করে। এক চামচ আমলকী গুঁড়ো নিয়ে গরম পানিতে মিশিয়ে নিন। আপনার মুখটি স্ক্রাব করতে এই পেস্টটি ব্যবহার করুন, পাঁচ মিনিট পরে ধুয়ে ফেলুন। আপনি চাইলে পেস্টে কিছুটা হলুদ যোগ করতে পারেন।
আরো দেখুন: মাশরুমের উপকারিতা
চুল পড়া নিয়ন্ত্রণ করে
চুল পড়া নিয়ন্ত্রণে আমলকী বেশ কার্যকর। কিছুটা শুকনো আমলকী নিয়ে পানিতে সিদ্ধ করুন। একবারে এটি পুরোপুরি সিদ্ধ হয়ে গেলে এগুলি ম্যাশ করুন এবং একটি পাত্রে পেস্ট তৈরি করুন। আপনি এটি মাথার ত্বকের পাশাপাশি চুলেও পেস্ট হিসাবে প্রয়োগ করতে পারেন। আপনি চাইলে সপ্তাহে একবার ব্যবহার করতে পারেন। এটি চুল পড়া নিয়ন্ত্রণ করে। আপনার চুলে আমলকীর রস ব্যবহার করুন এবং আধা ঘন্টা পরে ধুয়ে ফেলুন। পাতলা এবং শুষ্ক চুল এড়াতে আপনি নিয়মিত চুল ধুয়ে নেওয়ার আগে আমলকী তেল চুলে ব্যবহার করতে পারেন। আমলকী তেল একটি দুর্দান্ত কন্ডিশনার এবং প্রকৃতিক ভাবে চুলকে চকচকে ও স্বাস্থ্য উজ্জ্বল করে।
চুল পাকা রোধ করে
চুলকে খুশকিমুক্ত ও কম বয়সে চুল পাকা রোধে আমলকি বিশেষ ভূমিকা পালন করে। নারকেল তেল, মেথি গুঁড়া ও আমলকি গুঁড়া একসাথে মিশিয়ে পেস্ট করে নিন। এভাবে সপ্তাহে কমপক্ষে ২ দিন চুলের গোড়ায় দিয়ে মাসাজ করুন, উপকার পাবেন।
Source: bd-journal.com