নিমের ফল থেকে সরাসরি নিম তেল সংগ্রহ করা হয় বলে এই তেলের বিশুদ্ধতা সম্পর্কে সন্দেহের অবকাশ নেই। তিক্ত স্বাদের এই উপাদানটি আপনার শরীরের অধিকাংশ সমস্যার স্থায়ী সমাধান দিয়ে থাকে। শুধুমাত্র নিমের তেল আপনার কোন কোন উপকার সাধন করে থাকে, চলুন একটু দেখে নেই।
১। ত্বকের যত্নে নিম তেল-নিম তেলের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকে সহজে বার্ধক্যের ছাপ পড়তে দেয় না।নিম তেল ফ্যাটি এসিডে সমৃদ্ধ যার ফলে তেলটি সহজে ত্বকের সাথে মিশে যায় এবং সংকোচন-প্রসারণ সহজতর হয়।নিয়মিত নিম তেল ব্যবহার করলে ত্বকের বলিরেখা ও বার্ধক্যজনিত যাবতীয় দাগ দূর করা সম্ভব।নিম তেলে অ্যাসপিরিন জাতীয় উপাদান রয়েছে, যা ব্রণ হওয়ার জন্য দায়ী ব্যাকটেরিয়াগুলোকে ধ্বংস করে।
ত্বকের লাল ভাব ও ব্রণের ক্ষত থেকে ব্যথা হলে নিমের তেল তা সারিয়ে তোলে।
নিম তেল ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রেখে অ্যাকজিমা প্রতিকার ও প্রতিরোধ করে। তবে, বংশগত কারণে কারও অ্যাকজিমা হলে নিমের তেল তা পুরোপুরি সারিয়ে তুলতে সক্ষম নাও হতে পারে।ত্বকের ছোট ছোট লালচে দাগ দূর করে।ত্বকে অতিরিক্ত মেলানিন তৈরিতে বাধা দেয়।
আরো দেখুন: জিরার পানির উপকারিতা
২। চুলের যত্ন-চুলে ও মাথার ত্বকে নিয়মিত নিম তেল ব্যবহারের মাধ্যমে খুশকি থেকে দূরে থাকা সম্ভব।আপনার ব্যবহার করা শ্যাম্পুতে কয়েক ফোঁটা নিমের তেল মিশান। এবার চুলে শ্যাম্পু মেখে ২-৩ মিনিট অপেক্ষা করুন। এভাবে আপনার উসকোখুসকো ও প্রাণহীন চুল তার উজ্জ্বল্য ফিরে পেতে পারে।নিয়মিত নিম তেল ব্যবহারে উকুন তাড়ানো সম্ভব।চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে।চুল ভাঙা রোধ করে
৩। নিম ফাংগাল-বিরোধী হিসেবে কাজ করে। চুলের খুশকি দূর করতে, উকুন থেকে রেহাই পেতে ও চর্মরোগে নিম তেলের সঙ্গে নারিকেল তেল (১/১০ অনুপাত) মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।
৪। ২/৩ ফোঁটা নিম তেলের সঙ্গে পানি মিশিয়ে মুখের ব্ল্যাকহেডে লাগাতে পারেন। এটি প্রতিদিন লাগালে ব্ল্যাকহেড থেকে পরিত্রাণ পাবেন ও এটি ব্ল্যাকহেড ফিরে আসা প্রতিরোধ করবে।
Source: sahihfoods.com