খামারবাড়িতে স্বল্পমূল্যে ডিম কিনতে গিয়ে যারা হতাশ হয়েছেন তারা দ্বারস্থ হতে পারেন কোয়েলের ডিমের কাছে। কোয়েলের ডিম স্বল্পমূল্যে বেশি পুষ্টিগুণ বিশিষ্ট একটি খাবার। কোয়েল একটি ছোট্ট পাখি। নিজের আকৃতির মতই ছোট ছোট তার ডিম। মজার বিষয় হচ্ছে খাদ্য উপযোগী যেকোন ডিমের মধ্যে কোয়েলের ডিম পুষ্টিগুণের দিক থেকে এগিয়ে আছে সবচেয়ে বেশি।
মুরগির ডিম পৃথিবীতে বহুল অংশে প্রচলিত হলেও কোলেস্টেরলের কারণে অনেকেই খেতে পারেন না। এছাড়া মুরগির ডিমে আছে বাড়তি হৃদরোগের ঝুঁকি। একারণে দেশে কোয়েলের চাষ বাড়ছে এবং সেইসাথে বাড়ছে কোয়েলের ডিমের চাহিদা।
চিকিৎসকদের মতে কোয়েলের ডিম বিভিন্ন রোগ যেমন, পুরুষত্বহীনতা, কিডনী সমস্যা, স্মৃতিশক্তি হ্রাস, রক্তস্বল্পতা, ডায়াবেটিস প্রভৃতি রোগের জন্য উপকারি বলে বিবেচিত।
কম কোলেস্টেরল
মুরগির ডিমের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায় কোয়েল ডিমে কোলেস্টেরল ১.৪% আর মুরগির ডিমে ৪% এবং প্রোটিনের পরিমান মুরগির ডিম থেকে প্রায় শতকরা ৭ ভাগ বেশী।
কর্মদক্ষতা
এই ডিমের মধ্যে প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল, এনজাইম এবং এমাইনো এসিড এমনভাবে বিন্যাসিত যে এই ডিম শরীরের সব ধরণের পুষ্টির অভাব পুরণ করে শরীরের কর্মদক্ষতা বাড়িয়ে দেয়।
ভিটামিনের পরিমাণ
কোয়েলের ডিমে ভিটামিন বি-১ এর পরিমান মুরগীর ডিম থেকে ছয়গুণ বেশী, আয়রন ও ফসফরাস পাঁচ গুণ বেশী, ভিটামিন বি-২ পনেরো গুণ বেশী।
অ্যান্টিবডি তৈরী
কোয়েলের ডিমে এমন কিছু উপাদান আছে যা শরীরের মধ্যে অ্যান্টিবডি তৈরি করে।
হৃদযন্ত্রের যত্ন
হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া সচল রাখতে পারে কোয়েলের ডিম।
আরো দেখুন: আদা চা এর উপকারিতা
শিশুদের জন্য কোয়েল পাখির ডিম
বাচ্চাদের মানসিক, শারীরিক এবং বুদ্ধিমত্তার বিকাশ ঘটাতে সহায়তা করে থাকে কোয়েলের ডিম। দুর্বল বাচ্চা থেকে বৃদ্ধরা প্রতিদিন তিন চারটা করে কোয়েলের ডিম খেতে পারেন।
পাকস্থলির সমস্যা
চীনারা কোয়েলের ডিমকে টিবি, অ্যাজমা, এবং ডায়াবেটিস রোগের পথ্য হিসেবে ব্যবহার করে থাকেন।
কিডনি ও লিভারের সমস্যা
কিডনি ও লিভারের সমস্যা দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে কোয়েলের ডিম।
Source: somoynews.tv