এপ্রিকট এমন একটি ফল, যা শুকনো ফল বিভাগের অন্তর্ভুক্ত। তবে কাঁচা ও শুকনো দুইভাবেই খাওয়া যায়। এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, আয়রন, পটাসিয়াম, ফসফরাস এবং ভিটামিন ‘এ’, ‘সি’ ও ‘ই’। গর্ভাবস্থায় এপ্রিকট খাওয়া আপনার ও আপনার শিশুর পক্ষে ভালো।
এটি ফাইবারের সমৃদ্ধ উৎস এবং তাই গর্ভাবস্থায় এগুলো খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য হয় না। এটি গর্ভাবস্থায় হজম ক্ষমতা উন্নতিতে সহায়তা করে। এতে আছে আয়রন ও কপার। তাই গর্ভাবস্থায় রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ করা যায়। এপ্রিকট বিটা ক্যারোটিনের একটি ভালো উৎস। গর্ভাবস্থায় এপ্রিকট খেলে আপনার চোখের স্বাস্থ্যের যতœ নেয়। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে কার্যকর। রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে আপনি গর্ভাবস্থায় গর্ভকালীন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম করতে পারবেন। এপ্রিকটে ফলিক অ্যাসিডের উপস্থিতি নবজাতক শিশুর মধ্যে স্পিনা বিফিডার মতো জন্মগত প্রতিবন্ধকতা প্রতিরোধে সহায়তা করে। গর্ভাবস্থার ডায়েটে এপ্রিকট যুক্ত থাকলে ত্বককে উজ্জ্বল করবে। এপ্রিকট গর্ভাবস্থার পরও স্তনে দুধ উৎপাদনে সহায়তা করে। এটি স্তন্যদানকারী মায়েদের ক্ষেত্রে কার্যকর। শুকনো এপ্রিকটে উচ্চ পরিমাণে পটাসিয়াম রয়েছে, যা গর্ভাবস্থায় অভিজ্ঞতা পাওয়া ফোলাভাবের চিকিৎসার ক্ষেত্রে কার্যকর হতে পারে।