ঢেঁকি শাক বা পালই শাগ বা ঢেঁকিয়া শাক বা বউ শাক (বৈজ্ঞানিক নাম: Diplazium esculentum) Athyriaceae পরিবারের একটি উদ্ভিদ প্রজাতি।
এটি সবজি জাতীয় ফার্ণ যা আমরা খেয়ে থাকি। এই ফার্ণটি সবচেয়ে বেশি খাওয়া হয়। থাইল্যান্ডে ভীষণ জনপ্রিয় এই শাক। ঢেঁকি শাক থাইল্যান্ডে পাকু নামে পরিচিত। বর্ষার মৌসুমে ঢেঁকিশাক ভালো হয়।
ঢেঁকি শাকের পুষ্টিগুণ
১০০ গ্রাম ঢেঁকি শাকে রয়েছে-
- ক্যালরি: ৩৪ ক্যালরি
- শর্করা: ৫.৫৪ গ্রাম
- পানি: ৯২.২১ গ্রাম
- ফাইবার: ২.৮ গ্রাম
- ভিটামিন সি: ২৬.৬ মি.গ্রা.
- ভিটামিন এ: ৩৬১৭ I.U.
ঢেঁকি শাকের উপকারিতা
আরো দেখুন: লাউ শাকের উপকারিতা
নিচে ঢেঁকি শাকের উপকারিতা দেওয়া হলো –
- ঢেঁকি শাক ফাইবার সমৃদ্ধ। ডায়েটে উচ্চ পরিমাণে ফাইবার আমাদের ওজন কমাতে সহায়তা করে এবং হার্টের রোগকে কমিয়ে দেয়।
- এই শাক ভিটামিন “এ” সমৃদ্ধ। স্বাস্থ্যকর ত্বক এবং সঠিক দৃষ্টিশক্তির জন্য ভিটামিন “এ” প্রয়োজন হয়।
- ঢেঁকি শাক আমাদের ক্যান্সার, বিভিন্ন প্রদাহ, লিভার ইনফেকশন এবং ছোঁয়াচে ঠাণ্ডাকাঁশি থেকে রক্ষা করে। কারণ ঢেঁকি শাক ভিটামিন “সি” সমৃদ্ধ।
- ঢেঁকি শাকের স্ত্রীপ্রজাতির উদ্ভিদের মূল থেকে একধরনের ওষুধ তৈরি করা হয় যা সন্তানজন্মদানের সময় মহিলাদের স্তনের ব্যাথা সারাতে কার্যকরী।
- এই শাক আমাদের শ্বাসতন্ত্রকে সুস্থ্য রাখে ও কাশি সারিয়ে তোলে।
- এই শাকের শুষ্ক মূল থেকে তৈরি করা পাউডার ঘা বা ক্ষত নিরাময়ে সাহায্য করে। এছাড়া অনেকের ধারণা এই পাউডার জন্ডিসের জন্য সবচেয়ে ভাল ঔষধ।
- ডায়বেটিক রোগীর জন্য ঢেঁকি শাক একটি ভালো খাবার। ঢেঁকি শাক পটাসিয়াম বেশি থাকার কারণে এটি উচ্চ রক্তচাপ কমায়।
এছাড়াও এই শাকে ভিটামিন “এ” ও “সি” থাকায় এই শাক দাঁতের ক্ষত এবং ফুসফুসের ক্যান্সার, ত্বকের ক্যান্সার প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা রাখে। - যেকোন শাকের উপকারিতার কথা বলতে গেলে প্রথমে যে কথাটি বলতে হয় সেটি হলো এতে বিদ্যমান ফাইবার বা খাদ্যআঁশ। যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য ঢেঁকি শাক সবথেকে সেরা খাবার।
সতর্কতা:
কোন ভাবেই ভালো করে রান্না না করে এই শাক খাওয়া উচিত নয়। এছাড়া না চিনে ঢেঁকি শাকের মত দেখতে যেকোনো ফার্নকেই শাক হিসেবে খাওয়া উচিত না। কারণ এর অনেক প্রজাতি বিষাক্ত।