চলছে বৈশাখ মাস। এ সময়ে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে কাঁচা পাকা আম। আমের সময় বাজার থেকে কিনে প্রচুর আম খাওয়া হয়। আম খাওয়ার পর আমরা সাধারণ আঁটি ফেলে দেই।
তবে আপনি জেনে আবাক হবেন যে, আম অনেক পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। এছাড়া আমের আঁটি অনেক রোগ সারাবে।
আমের অনেক পুষ্টিগুণ আছে, যা মানবদেহের জন্য বিশেষ উপকারী। আম প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ফল, যা স্তন ক্যানসার, প্রোস্টেট ক্যানসার এবং কোলন ক্যানসার প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে। এছাড়াও আয়ের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট নিউকেমিয়া রোগের প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে।
আমে আছে উচ্চমাত্রার ভিটামিন ‘এ’ ভিটামিন ‘এ’ দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে এবং রাতকানা রোগও প্রতিরোধ করে। আমের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার এবং ভিটামিন ‘সি’। যা লিপোপ্রোটিনের ঘনত্ব কম রাখতে সহায়তা করে। ফলে শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে থাকে।
আমের আঁটিও খুব উপকারী। এছাড়া এই আমের আঁটিতে অনেক রোগ সারাবে। এমন তথ্য জানা গেছে সাম্প্রতিক এক গবেষণায়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের গবেষণা থেকে জানা গেছে এমনি তথ্য।
আম আমাদের শরীরের রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায়। তবে আমের আঁটি খেলে তার প্রতিক্রিয়া আলাদা। আমের আঁটি খেলে শর্করা নিয়ন্ত্রণে থাকে, এখানেই শেষ নয়। বেশ কয়েকটি রোগের সারাবে আমের আঁটি।
আরো দেখুন: ডায়াবেটিস রোগে জামের বিচির উপকারিতা
আসুন জেনে নেই আমাদের আঁটি সারাবে যেসব রোগ:
চুলের খুশকি
চুলের খুশকি সারাতে আমাদের আঁটি বিশেষভাবে কাজ করে। আমের আঁটি শুকিয়ে গুঁড়ো করতে হবে। এরপর তা মাথার ত্বকে লাগাতে পারেন। এছাড়া পানির সঙ্গে মিশিয়ে মাথায় ঘষুন। এতে খুশকি কমে যাবে।
চুল পড়া বন্ধ করে
আমের আঁটির গুঁড়ো মাথার ত্বককে শুষ্ক রাখতে সাহায্য করে। ফলে চুল ওঠার সমস্যাও অনেকটা নিয়ন্ত্রিত হয়।
অতিরিক্ত ওজন
ওবেসিটি বা অতিরিক্ত ওজনের সমস্যা থাকলে কাঁচা আমের আঁটি খেতে পারেন। ফ্যাট বার্ন ররতে আমের আঁটি অত্যন্ত কার্যকরী।
ডায়রিয়া
ডায়রিয়া হলে আমের আঁটি শুকিয়ে গুঁড়ো করেন। এরপর তা পানির সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। ক্রনিক ডায়রিয়া সারাতে খুবই কার্যকরী আমের আঁটি।
এছাড়া কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতেও কাঁচা আমের আঁটি খুবই কার্যকরী। নরম এই আঁটি কামড়েই খাওয়া যায়। তবে এতে কোনো ক্ষতি হওয়ার ভয় নেই। এছাড়া কাঁচা আমের আঁটি শুকিয়ে গুঁড়ো করে দুধের সঙ্গে ব্যবহার করতে পারেন।
সুত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা