স্বাস্থ্যের জন্য বাটা মাছের উপকারিতা অনেক। তাছাড়া বাটা মাছের পুষ্টিগুণ রয়েছে যতেস্ট। এটি আমাদের দেশের খুব জনপ্রিয় মাছ। এই মাছ আকারে খুব বড় হয় না কিন্তু খেতে প্রচুর স্বাদ। সর্বোচ্চ এই মাছ ২৫ থেকে ৩৫ সেন্টিমিটার প্রর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। এই মাছের দাম তুলনা মূলক কম থাকায় বাজারে এর চাহিদা প্রচুর। প্রাণীজ আমিষের অনেকাংশই পূরণ করে মাছ। মাছে প্রচুর পরিমানে আমিষ রয়েছে তাছাড়া প্রোটিন, শর্করা, ও বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন রয়েছে । বাটা মাছ বিভিন্ন ভাবে রান্না করে খাওয়া যায়।এই মাছ খেলে আমাদের শরীরের আমিষের চাহিদা পূরণ হবে । এবং দেহ সুস্থ ও সবল থাকবে।
প্রতিটি মাছেই কম বেশি আমিষ রয়েছে। আমিষ দেহ সুস্থ রাখতে সাহায্য় করে। তাছাড়া এই মাছে রয়েছে ক্যালসিয়াম ,পটাসিয়াম,ও প্রচুর পরিমানে আয়রন। ক্যালসিয়াম ও পটাসিয়াম আমাদের শরীরের জন্য অনেক গুরুত্বপুর্ণ। এই দুইটি উপাদান দেহের দাঁত ও হাঁড় গঠনে কার্যকরী ভুমিকা পালন করে। এছাড়া ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম হাঁড় দৃঢ় ও মজবুত করতে ভালো অবদান রাখে। তাই নিয়মিত বাটা মাছ খেলে আমাদের দাঁত ও হাড় সুস্থ থাকবে। এই মাছে রয়েছে প্রোটিন। প্রোটিনের প্রধান কাজ হল মানবদেহের বৃদ্ধি, কোষগঠন ও ক্ষয়পূরণ। তাছাড়া শরীরে নতুন কোষ সৃষ্টিতে প্রোটিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
আরো দেখুন: ছোট মাছের উপকারিতা এবং পুষ্টিগুণ
দেহে ১ গ্রাম প্রোটিন থেকে ৪.০ ক্যালরি তাপ শক্তি উৎপন্ন হয়। আর একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষে জন্য যতেষ্ট প্রোটিনের প্রয়োজন রয়েছে। প্রতিদিন একজন মানুষের ওজন অনুপাতে প্রোটিন দরকার। কোন ব্যক্তির ওজন ৬০ কেজি হলে তার প্রতিদিন ৬০ গ্রাম প্রোটিনের প্রয়োজন। বাটা মাছের পুষ্টিগুণ অন্যান্য মাছের তুলনায় কোন অংশে কম নয়। এই মাছের দাম অন্যান্য মাছের তুলনায় অনেক কম। বর্তমানে অনেক মাছ চাষিরা বাটা মাছ চাষ করে অনেক লাভবান হচ্ছে। তাছাড়া বাটা মাছ চাষ করা অনেক সহজ। এবং খরচের তুলনায় লাভ বেশি পাওয়া যায়। অনেক বেকার ভাইয়েরা এই মাছ চাষ করার প্রতি আগ্রহ সৃস্টি করছে। এবং অল্প পুঁজি বিনিয়োগ করে তারা সফল ভাবে এই মাছ চাষ করছে। এবং যতেষ্ট মুনাফা অর্জন করছে।
Source: sastobd.com