ঘি প্রয়োজনীয় ফ্যাট-দ্রবণীয় ভিটামিন ডি, কে, ই এবং এ দ্বারা সমৃদ্ধ, তাই এই উপাদানগুলো প্রতিরোধ-ক্ষমতাসহ আমাদের দেহের নানাবিধ কার্য সম্পাদন করে।
ভিটামিনের শোষণ নিয়ন্ত্রন
ঘিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে প্রবেশের পর ভিটামিনের শোষণ বৃদ্ধি পায়। এতে দেহের অন্দরে ভিটামিনের ঘাটতির আশঙ্কা থাকে না। সঙ্গে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়।
ক্যান্সার প্রতিরোধ
ঘি-এ থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের উপস্থিত ফ্রি রেডিক্যালদের ক্ষতি করার ক্ষমতা ধীরে ধীরে কমিয়ে দেয়। এতে কোষের বিন্যাসে পরিবর্তন আসে। যার জন্য শরীরে ক্যান্সার সেলের জন্ম নেয়ার হার কমতে থাকে।
শক্তির উৎস
ঘি হচ্ছে শক্তির উৎস। ঘি-এ মাঝারি এবং শর্ট-চেইন ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। যা লরিক অ্যাসিড একটি শক্তিশালী অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল পদার্থ। নিয়মিত ঘি খাওয়ার ফলে এসব উপাদান প্রয়োজনীয় শক্তি বৃদ্ধি করে থাকে।
ত্বকের যত্ন
ঘি-এর মধ্যে অত্যাবশ্যকীয় ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। এ উপাদানটি নিস্তেজ এবং শুষ্ক ত্বকের পুষ্টি জোগাতে অনেক কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
হাড়ের জন্য
ঘিয়ে ভিটামিন-কে ক্যালসিয়ামের সঙ্গে মিলে হাড়ের স্বাস্থ্য ও গঠন বজায় থাকে।
চুল পড়া প্রতিরোধ
খালি পেটে ঘি খেলে চুলের স্বাস্থ্য ভলো থাকে।এটি চুল পড়া প্রতিরোধে সাহায্য করে। ঘি চুল নরম ও উজ্জ্বল করতে উপকারী।
কনজুগেটেড লিনোলেক অ্যাসিডঃ ঘি-এ থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের অ্যান্টি-ভাইরাল গুন রয়েছে। যা ক্ষত সারাতে সাহায্য করে।
হজম ক্ষমতা বাড়ায়
ঘিতে রয়েছে প্রচুর বাটাইরিক অ্যাসিড,যা আমাদের খাবার তাড়াতাড়ি হজম করতে সাহায্য করে। যারা কোষ্ঠকাঠিণ্যতে ভোগেন তাদের জন্য ঘি খুবই উপকারী।
আরো দেখুন: কালোজিরার উপকারিতা
চোখ ভালো রাখে
ঘিতে রয়েছে ভিটামিন-ই।ঘি নিযমিত খেলে অবটিক নার্ভের উন্নতি ঘটে। ফলে আমাদের দৃষ্টিশক্তি ভালো হয়।
সর্দি-কাশি দূর করে
ঘি অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট গুণসমৃদ্ধ হওয়ায় এটি ভাইরাস, ফ্লু, কাশি, সর্দি প্রভৃতির বিরুদ্ধে লড়াই করে।
Source: dmpnews.org