চিড়া হচ্ছে একধরণের খাবার যা বাংলাদেশ, ভারত, নেপালে খাওয়া হয়। ধান থেকে চিড়া তৈরী করা হয়। ভালো স্বাদের চিড়া পেতে হলে নির্দিষ্ট জাতের ধান নির্বাচন করতে হয়। চিড়া শুকনো বা ভেজা অবস্থায় খাওয়া যায়। পানি, দুধ এবং অন্যান্য তরল জাতীয় পদার্থ খুব সহজে চিড়া শুষে নিতে পারে। শুকনো চিড়া গুড়ের পাটালি দিয়ে খাওয়ার রীতি আছে। এটা খুব সহজে হজম হয়। মিষ্টির দোকান গুলোতে দই চিড়া একটি বহুল প্রচলিত খাবার।পেট ঠাণ্ডা করতে, পানির অভাব পূরণে এবং একই সাথে ক্ষুধা মিটাতে চিড়ার গুরুত্ব অপরিসীম। তবে কোন কোন ক্ষেত্রে চিড়া ক্ষতিও করে। আজ কের লেখাতে আমরা আপনাদের জানাবো চিড়া এর উপকারিতা এবং অপকারিতা।
চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারীতা
চিড়া খাওয়ার উপকারীতা
চিড়া খাওয়ার উপকারিতা বলে শেষ করা যায় না। গরমে, নাশতায়, বিকেলের খাবারে বিভিন্ন ভাবে রান্না করে, দইএর সাথে, আমের সাথে কত কি উপায়ে চিড়া খাওয়া যায় তা বলে শেষ করা যাবেনা।
(১) চিড়ায় আঁশের পরিমাণ অনেক কম থাকে যা ডায়রিয়া, ক্রন’স ডিজিজ, আলসারেটিভ কোলাইটিস, অন্ত্রের প্রদাহ এবং ডাইভারটিকুলাইসিস রোগ প্রতিরোধে চিড়া খাওয়ার উপকারিতা অনেক।
(২) সিলিয়াক ডিডিজের রোগীদের জন্য চিড়া খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে। চালের প্রোটিন প্রোলামিন এবং গ্লুটেলিনের শোষণে কোন সমস্যা না থাকার জন্য এই রোগীদের জন্য চিড়া গ্রহণ করা নিরাপদ।
(৩) চিড়ায় পটাসিয়াম এবং সোডিয়ামের পরিমাণ কম থাকার জন্য কিডনি রোগীদের ক্ষেত্রে চিড়া খাওয়ার উপকারিতা অনেক।
আরো দেখুন: সুস্বাদু দই চিড়া রেসিপি শিখে নিন
চিড়া খাওয়ার অপকারিতা
(১) চিড়া খাওয়ার উপকারিতা অনেক থাকলেও বেশি শর্করা এবং উচ্চ গ্লাইসেমিক সুচক সমৃদ্ধ খাবার বেশি গ্রহণে সিরাম ট্রাইগ্লিসারাইডের ঘনত্ব বৃদ্ধি পায় এবং ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস করে যা কার্ডিওভাসকুলার ডিডিজের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে।