আলুবোখারার উপকারিতা

দেখতে খারাপ হলেও যে স্বাদ ভালো হতে পারে তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ আলুবোখারা। ‘ড্রাই ফ্রুটস’ বলতে সবাই বেছে নিতে চান কিশমিশ, ‘অ্যাপ্রিকট’, ‘ফিগস’ ইত্যাদি। এখানে আলুবোখারা বেশ অবহেলিত।

পুষ্টিবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে আলুবোখারার পুষ্টিগুণ সম্পর্কে এখানে জানানো হল।

আলুবোখারা হল শুকনা পাম ফল। ক্যালরির মাত্রা এতে বেশ কম, তাই যারা ওজন কমাতে চাচ্ছেন তাদের জন্য এটি কোনো সমস্যার কারণ হবে না।

এতে প্রোটিনের মাত্রাও কম, তবে ভোজ্য আঁশের মাত্রা বেশি। প্রতি ১৫ গ্রামে আছে এক গ্রাম আঁশ। তাই ডায়াবেটিস ও রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেশ কার্যকর আলুবোখারা।

পটাশিয়ামের উৎস হিসেবে কলার পরেই আছে আলুবোখারা। মল নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে আলুবোখারার খ্যাতি আছে। যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা আছে কিংবা হজমের সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য উপকারী খাবার এটি।

হাড়ের সার্বিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নে এবং ঘনত্ব বাড়াতে সহায়ক আলুবোখারা।

এতে আরও থাকে ‘অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট’ ও ভিটামিন ‘এ’, যা চোখ ও ত্বকের জন্য উপকারী। শরীরের লৌহের চাহিদা পুরণ করতেও কার্যকর।

আরো দেখুন: আপেলের উপকারিতা

একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ দিনে খুব বেশি হলে তিন থেকে চারটি মাঝারি আকারের আলুবোখারা খেতে পারবেন। আর তাতেই এই শুকনা ফল থেকে সর্বোচ্চ উপাকার পাওয়া যাবে।

সবসময় তাজা আলুবোখারা খাওয়া উচিত। টিনজাত ও প্যাকেটজাত আলুবোখারা যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলাই ভালো। কারণ সেগুলোতে থাকে ‘প্রিজারভেটিভ’ ও কৃত্রিম চিনি।

আলুবোখারার শরবত যা বাজারে ‘প্রুন জুস’ নামে পরিচিত, তা এড়িয়ে চলাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। কারণ তাতে প্রকৃত আলুবোখারার মতো পুষ্টিগুণ থাকে না।

Source: https://bangla.bdnews24.com/lifestyle/article1608284.bdnews

Leave a Comment