খেসারির ডাল থেকে হতে পারে পক্ষাঘাত। তবে খাওয়ার পদ্ধতি পাল্টালে থাকবে না ঝুঁকি।
দৈনিক আমিষের চাহিদা পূরণ করতে ডালের ভূমিকা অতুলনীয়। মাছ মাংসের পরিবর্তে ডাল আমিষের চাহিদা পূরণ করে থাকে।
আমাদের খাদ্য তালিকায় ডাল একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে। যাতে থাকে ভালো পরিমাণে শর্করা, তেল, ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ।
আর আমিষের পরিমাণে মাংস এবং মাছের সঙ্গে তুলনীয় বলে ডালকে ‘গরিবের মাংস’ বলা হয়ে থাকে।
মসুর ও মুগডালের পাশাপাশি খেসারির ডালও আমাদের খাদ্যতালিকায় থাকে। যার বৈজ্ঞানিক নাম লাথাইরাস সাটিভাস (Lathyrus sativus)। এই ডালে বোয়া (BOAA) নামক এক প্রকার অ্যামিনো অ্যাসিড তৈরি হয়। এই অ্যাসিড ‘ল্যাথারিজম’ নামক পায়ের প্যারালাইসিসের জন্য দায়ী।
ল্যাথারিজমের লক্ষণগুলো হঠাৎ করেই শুরু হয়। প্রাথমিকভাবে হাঁটতে অসুবিধা ও অসহ্য যন্ত্রণা হয়। পা অবশ হয়ে যায়। এই ধরনের নানান অনুভূতি দেখা দেয়।
এই রোগে নারীদের থেকে পুরুষের আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা অনেক বেশি দেখা যায়। বিশেষ করে, যাদের বয়স মোটামুটি ২৫ থেকে ৪০ এর মধ্যে।
বেশিদিন খেসারির ডাল খেলে এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
অপরিপক্ব, সিদ্ধ ডাল এবং খেসারির গাছের অংশসহ রান্না করে খেলে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থেকেই যায়।
আর রক্তের গ্রুপ ‘ও পজেটিভ’ বা ‘ও নেগেটিভ’ হলেও আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
খাদ্যের এক-তৃতীয়াংশ থেকে অর্ধভাগ খেসারি ডাল হলে এবং তা ক্রমাগত তিন থেকে ছয় মাস পর্যন্ত খেলে রোগটি মানুষের মধ্যে দেখা দেয়।
আরও পড়ুন: জেনে নিন কোন ডালের কি উপকারিতা
সারা বছর পেঁয়াজু তেমন খাওয়া না হলেও রমজান মাসে ইফতারিতে পেঁয়াজু খাওয়া হয়। মসুর কিংবা মুগ ডালের পাশাপাশি অনেকেই খেসারির ডাল দিয়ে পেঁয়াজু বানিয়ে থাকেন। তাই নিত্যদিনের খাদ্যতালিকায় খেসারির ডাল রাখতে হলে একটি নিয়ম মেনে চলা দরকার।
খেসারির ডাল ২৪ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রেখে সেই পানিকে ফেলে দিয়ে, রান্না করার আগে উচ্চ তাপমাত্রায় ভেজে নিয়ে ডাল রান্না করলে ‘ল্যাথারিজম’ রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না।
Source: bangla.bdnews24.com