জেনে নিন সামুদ্রিক মাছের নানাবিধ উপকারিতা

সামুদ্রিক মাছের পুষ্টিগুণ মিঠা জলের মাছের তুলনায় অনেক গুণ বেশি। আমাদের দেশে সারা বছরই বাজারে বিভিন্ন জাতের সামুদ্রিক মাছ পাওয়া যায়। সামুদ্রিক মাছ উচ্চ-প্রোটিনসমৃদ্ধ, এবং এতে ক্ষতিকারক ফ্যাট নেই বললেই চলে। প্রজাতি ভেদে সামুদ্রিক মাছের স্বাদ ভিন্ন হয় কিন্তু পুষ্টিগুণ বিচারে সব সামুদ্রিক মাছই অনন্য। সামুদ্রিক মাছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড, ভিটামিন এ এবং ভিটামিন ডি থাকে, যা একাধিক জটিল রোগ থেকে আমাদের দূরে রাখে। শিশু-কিশোরদের মানসিক ও শারীরিক গঠনে সামুদ্রিক মাছ দারুণ ভূমিকা পালন করে। আসুন এবার বিস্তারিতভাবে জেনে নিই সামুদ্রিক মাছের নানাবিধ উপকারিতা..

হৃদরোগ প্রতিরোধ করে

সামুদ্রিক মাছে রয়েছে ওমেগা-৩ নামক ফ্যাটি এসিড যা হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী। এই ফ্যাটি এসিড হৃদরোগ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে।

কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে

বেশির ভাগ সামুদ্রিক মাছে ভিটামিন এ ও ডি থাকে, যা কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। তাই হৃদরোগে আক্রান্ত ও ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সামুদ্রিক মাছ খুবই উপকারী।

ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধি করে

নিউরোলজিস্টদের মতে শরীরে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিডের মাত্রা বাড়তে থাকলে ব্রেনের বিশেষ কিছু অংশের ক্ষমতা এতটাই বৃদ্ধি পায় যে ডিমেনশিয়া বা অ্যালঝেইমারের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়।

দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে

সামুদ্রিক মাছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিট থাকে। আর এই ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড রেটিনার কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করার মধ্যদিয়ে সার্বিকভাবে দৃষ্টিশক্তির উন্নতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

রোগ প্রতিরোধ

সামুদ্রিক মাছ মানুষের দেহের প্রয়োজনীয় পুষ্টি চাহিদা মিটিয়ে নানা রোগ থেকে রক্ষা করতে সক্ষম। এতে জিংক ও আয়োডিন আছে। জিংক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং আয়োডিন গলগন্ড রোগ প্রতিরোধ করে।

আরো দেখুন: ছোট মাছের উপকারিতা এবং পুষ্টিগুণ

জয়েন্ট পেইন সারাতে

রিউমাটয়েড আর্থাইটিসে আমাদের অস্থিসন্ধিগুলো ব্যথাসহ ফুলে যায়। রেগুলার সামুদ্রিক মাছ খেলে রিউমাটয়েড আর্থাইটিসের উপসর্গ কমে আসে।

সহজে হজমযোগ্য আমিষ

সামুদ্রিক মাছের আমিষ সহজে পরিপাকযোগ্য। এ ছাড়া দেহের বৃদ্ধি ও ক্ষয়রোধে সাহায্য করে। এটি ভিটামিন বি-এর উৎকৃষ্ট উৎস। তা ছাড়া সামুদ্রিক মাছের আমিষ ও তেল দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।

ডায়াবেটিসে উপকারী

ডায়াবেটিস রোগীরা খাদ্য তালিকায় সামুদ্রিক মাছ রাখতে পারেন। এতে তাদের এ রোগ নিয়ন্ত্রণে সুবিধা হবে।

তা ছাড়া সামুদ্রিক মাছে থাকে আয়োডিন, সেলেনিয়াম, জিংক এবং পটাশিয়ামসহ অনেক অপরিহার্য পুষ্টি উপাদান। থাইরয়েড গস্ন্যান্ডের জন্য আয়োডিন অত্যাবশ্যকীয়, এবং সেলেনিয়াম এক ধরনের এনজাইম তৈরি করে যা আমাদের ক্যান্সারের হাত থেকে বাঁচায়। এ ছাড়াও সিলোনিয়াম শরীরে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং বার্ধক্য প্রতিরোধ করে।

Source: jaijaidinbd.com

Leave a Comment