অপরাজিতা ফুলগুলো প্রথমে শুকিয়ে একটি বোতলে রেখে দিন। তারপর চা বানাবার মত একটা কাপে ৬টা শুকনো ফুল দিন। তার মধ্যে ফুটন্ত গরম জল ঢালুন একটু পরে দেখবেন ফুল গুল সাদা হয়ে গেছে। আর জল কি সুন্দর নীল হয়েছে। এখন পরিমান মত চিনি মেশান। চা এর সাধ একটু বাড়াতে চাইলে সাথে কিছু মসলা যোগ করুণ যেমন-দারুচিনি, লবঙ্গ, এলাচি, আদা, লেবু ব্যবহার করতে পারেন। এ্যান্টি অকসিডেন্টে ভরপুর দারুণ এই চা পানীয়।
তবে মজার ব্যাপার হল চা এর মধ্যে একটু লেবু চেপে দিলে নীল রং টা বদলিয়ে ম্যাজেন্টা রং হয়ে যাবে।
অপরাজিতা ফুলের উপকারিতা
অপরাজিতা চায়ের ভেষজ গুণ অনেক বেশি। এই চা রোগপ্রতিরোধ বৃদ্ধি করার পাশাপাশি ঠান্ডাজনিত সমস্যা দূর করতে সাহায্য কর।
সারাদিনের ক্লান্তি দূর করতে সকালের শুরুটা এককাপ অপরাজিতার চা দিয়ে করা ভালো।
অ্যান্টি অক্সিডেন্টের গুণে ভরপুর অপরাজিতার চা শরীরে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কয়েকগুণ বাড়িয়ে তোলে।
আরো দেখুন: নবাবী সেমাই রেসিপি
নিয়মিত এই চা পান করলে শরীরের ক্ষতিকর সংক্রামণ থেকে বিরত রাখা যায়। এছাড়া ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এ পানীয়টি বিশেষ উপকারী।
শরীরচর্চার দিক থেকেও অপরাজিতার চা একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি ত্বক ও চুলের যত্নেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
হতাশা কাটানোর এক দারুণ ওষুধ হতে পারে এই চা। এমনকী ক্যান্সারকে দূরে রাখতে সাহায্য করতে পারে অপরাজিতার চা। এর মধ্যে থাকা একাধিক উপকারী উপাদান ক্যান্সারের ঝুঁকিকে কমাতে সাহায্য করবে।
অপরাজিতার চা বমির ভাব দূর করে। এটি একটি ভেষজ গুণে সমৃদ্ধ ফুল। তবে বেশি খেলে ডায়রিয়া হওয়ার সম্ভবনা থাকে।
অপরাজিতার চা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণ হজমে সাহায্য করে। বমি ভাব কাটানোর কাজেও আসে এই চা ৷ এছাড়া মস্তিষ্ক জনিত সমস্যা যেমন ডিমেনশিয়া রোগীদের জন্য এই চা অত্যন্ত উপকারী।
Source: https://farmsandfarmer24.com/অপরাজিতা-ফুলের-চা-বানানো/