শারীরিক দুর্বলতা থেকে শুরু করে বীর্য ঘন করে এবং জ্বর সর্দি কাশি ছাড়াও অনেক রোগের কাজ করে শুধু আলকুশি গাছের বীজ থেকে । তাই আজকে জানবো আলকুশি বীজের উপকারিতা সম্পর্কে । গাছের মধ্যে যে কতগুলো গুনাগুন রয়েছে তা শুধু এইমাত্রই আগেকার মানুষরাই বলতে পারবে । কেননা তাদের সময় কোন প্রকার ওষুধ ছিলনা তারা বিভিন্ন গাছের লতাপাতা ফলমূল শেকড় ইত্যাদি থেকে ওষুধ বানিয়ে নিতে । এটা কথা সত্যি যে ওষুধের থেকে দ্রুত কাজ করে গাছের লতাপাতা ।
পৃথিবীতে এখনো অনেক মানুষ হয়েছে যারা এখন পর্যন্ত গাছান্ত ঔষধ সেবন করে । আর এই ঔষধ দ্বারা তারা প্রতিনিয়ত চিকিৎসা দিয়ে আসছেন এবং এর ফল সেই আদিম যুগ থেকে পেয়ে আসছেন । তাই এখন বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেখা যায় যে আদিম যুগের যে সকল মানুষেরা যে সকল গাছ গাছরা ব্যবহার করত এখনতো বর্তমান যুগে নিয়ে এসেছে । তাই আমরা কোন গাছ কে অবহেলা না করে এর ব্যবহার ও পরিচর্যা করব । তাই চলুন দেখে নেয়া যাক আলকুশি বীজের উপকারিতা সম্পর্কে এবং এর গুনাগুন সম্পর্কে । কোন কোন রোগের ক্ষেত্রে আলকুশি বীজ ব্যবহার করতে হবে সে সম্পর্কে জানা যাক ।
আলকুশি বীজের উপকারিতা কি?
- আলকুশির বীজ যদি আপনি চিনি ও দুধের সাথে এই বীজ প্রতিদিন একবার সিদ্ধ করে খান তাহলে আপনার শরীরের মধ্যে যদি কোন শারীরিক দুর্বলতা দূর করে , পাতলা বীর্য ঘন করবে , স্নায়বিক দুর্বলতা দূর করে ।
- বিষাক্ত পোকা মাকড়ের কামড়ে যদি অধিকাংশ যন্ত্রণা হয় ও তাহলে এই বীজের গুড়া ক্ষত স্থানে লাগিয়ে দিলে অনেকাংশে ব্যথা কমে যাবে ।
- যদি কোন ব্যক্তির আমাশয় থেকে থাকে তাহলে এক মাস পর্যন্ত আলকুশি গাছের শিকড়ের রস এক চামচ খেলে আমাশয় শরীর ভালো হয়ে যায় ।
- আলকুশি গাছের পাতার রস ফোঁড়ায় দিলে সেটি ফেটে যায় ।
- যদি আপনার বাড়িতে কোন পশু পাখি থাকে আর সেই পশু পাখির গায়ে যদি কোন ক্ষত স্থান থাকে সেই স্থানে যদি আলকুশি শিকড়ের রস লাগিয়ে দিলে দ্রুত সেরে যাবে ।
- এর রস খেলে সর্দি কাশি জ্বর সেরে যায়,এবং মূত্রতন্ত্রের রোগ নিরাময়ে বেশ কার্যকর ।
আরো দেখুন: মৌরির উপকারিতা
আলকুশি গাছ দেখতে কেমনঃ
এই গাছটি দেখতে অনেকটা সিমের গাছের মতো এবং ছোট ছোট আড়া দ্বারা আবৃত্তি । এর পাতাগুলো অনেকটা সিম গাছের পাতার মত । দেখতে অনেকটা মসৃণ এরা তার সর্বোচ্চ ৮ থেকে ১২ সে.মি. পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে । এর বীজ চ্যাপ্টা হয়ে থাকে । বীজটির সম্পূর্ণ শরীর কালো এবং মুখটা হালকা সোনালী বর্ণের । এই গাছের কাঁটা হয়ে থাকে । সেই কাঁটা গায়ে লাগালে ফুলে উঠে । অন্যান্য গাছের মতো এই গাছও প্রতিবছর ফুল এবং ফল দেয় ।