করলা সবজি হিসেবে অসাধারণ। আমার ঘরে খুবই প্রিয়, বিশেষ করে শুধু করলা একটূ পোড়া-পোড়া করে ভাজি করলে রীতিমত ছেলে-মেয়েদের মধ্যে কাড়া-কাড়ি লেগে যায়। ও! মনে রাখবেন – করলা ভাজি খেতে হয় গরম গরম, গরম ভাতের সাথে। একবেলায় করলা রেধে রেখে আরেক বেলায় খাবেন না, বরং কম করে রান্না করুন আর তাজা রান্নাই খাবেন, ভাল লাগবে।
পোড়া-পোড়া করে করলা ভাজির রেসিপি নিয়ে আরেকদিন আসব, আজ আলু-করলা ভাজি, অর্থাত করলায় আলু…
উপকরণ
- করলা – ১টা বড় সাইজের
- আলু – ২টা মাঝারী সাইজের
- পেয়াজ কুচি – ১ টেবিল চামচ
- ধনেগুড়া – ১টেবিল চামচ
- মরিচ গুড়া – ১/২ চা চামচ
- জিরা গুড়া – ১/৩ চা চামচ
- লবণ – স্বাদমতো
- চিনি – ১ চিমটি
- তেল – ১/২ কাপ
প্রস্তুত প্রণালী
আলুর খোসা ছাড়িয়ে নিন। তারপর আলু ও করলা ধুয়ে পাতলা করে কেটে নিতে হবে, কুচি করবেন না। করলার খোসা ছাড়াতে হবেনা। কাটার পর সবজি ধোবেন না, তাতে খাদ্যগুণ নষ্ট হয়।
আরো দেখুন: আলু ভর্তা রেসিপি
এবার কড়াইয়ে তেল দিয়ে একটু গরম করুন। তেল হালকা গরম হলে তাতে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে নেড়ে পেঁইয়াজ ভাজুন। পেঁয়াজ বাদামী রঙ ধারণ করলে একেএকে ধনে গুড়া, মরিচ গুড়া, জিরা গুড়া ও লবণ দিয়ে একবার নেড়ে তাতে করলা ও আলু দিয়ে দিন। ভালভাবে কয়েকবার নেড়ে মশলার সাথে কষিয়ে নিন। ঢাকনা দিয়ে দিতে পারেন এ পর্যায়ে। চুলার আঁচ খুব বেশি থাকবেনা। কিছুক্ষন পর আবার নেড়ে দিন। এভাবে একটু পরেপরে কয়েকবার নেড়ে দিতে হবে। নেড়ে দেয়ার সময় খেয়াল রাখবেন খুব যেন ওলোট-পালোট করে নাড়া না হয় তাতে করলা তিতা হয়ে ঊঠবে।
করলা ভাজা-ভাজা হয়ে এলে সামান্য (১ চিমটি) চিনি দিয়ে নামিয়ে পরিবেশন করুন। চিনি দেয়ার ফলে করলা ভাজির রঙ রান্নার পরো সবুজ থাকবে
Source: vulusrecipe.com